বিএনপির শনিবারের (২৮ অক্টোবর) ঢাকার মহাসমাবেশকে সামনে রেখে ফরিদপুরের মধুখালী, আলফাডাঙ্গা, চরভদ্রাসন, ফরিদপুর সদর, সালথা, সদরপুর ও বোয়ালমারী উপজেলায় বিএনপির ৪২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে কিবরিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল ৩টা থেকে আজ শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকেল ৩টা পর্যন্ত বাসা-বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীরা হলেন- ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরমানাই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বজলু মাস্টার, বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. লুৎফর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াকুব হোসেন, বোয়ালমারী পৌর যুবদলের সদস্য মোহাম্মদ আল-আমিন হোসেন, বোয়ালমারী উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি হেলিম মিয়া, চরভদ্রাসন উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও চরহরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান ওরফে দিপু, মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান খান, কোড়কদী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মঞ্জু মোল্লা, গাজনা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেগচামী ইউনিয়ন যুবদল নেতা কিয়াম শেখ, মধুখালী সরকারি আইনুদ্দিন কলেজের ছাত্রদলের সদস্য মোহাম্মদ জিহাদ শেখ, বাগাট ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য অলেমান চৌধুরী, আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাদী ওহিদ, আলফাডাঙ্গা পৌর বিএনপির সদস্য মো. মিজান ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির কর্মী-রনি, জনি, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসেম খান, মধুখালী উপজেলা বিএনপির কর্মী নাসিরুদ্দিন, ইমরান মিয়া, শাজাহান শেখ, কাছিরুউদ্দিন, মধুখালীর কামারখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আক্কাস মৃধা, মধুখালীর যুবদল নেতা মো. ওসমান ভূঁইয়া। এ ছাড়া ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বিএনপি কর্মী আলমগির মোল্লা, সিদ্দিক মাতুব্বর, তোরাফ মোল্লা, আবু তালেব শেখ, মুরাদ, হান্নান, রফিক মুন্সী, ওমর আলী, জাফরসহ সালথা উপজেলার ১৯ জনসহ জেলায় মোট ৪২ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে কিবরিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, এরকম গ্রেপ্তার করে সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না। অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করছি।
এছাড়া নেতা-কর্মীদের বাসায় গিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে পুলিশ খারাপ ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সংখ্যাটা বলতে পারছি না। তবে রাজনৈতিক কারণে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদের সবার নামেই বিভিন্ন মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় আমরা জানি না।
সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল ঢাকা পোস্টকে বলেন, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এরা সবাই নিয়মিত মামলার আসামি। বিভিন্ন মামলায় তাদের নাম থাকায় বা তদন্তে তাদের নাম উঠে আসায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখানে রাজনীতিকে টেনে আনার সুযোগ নেই।