পাড়ার অন্য ছেলেরা যখন ঘুমিয়ে,তখন রাব্বি রবির আপসা আলোতে প্রায় ২০ কিঃমি অদূরে বাই-সাইকেল চালিয়ে কুষ্টিয়া ফুটবল একাডেমিতে অনুশীলনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। অনুরূপ ভাবে বিকেলে গ্রামের মাঠের ছোট্ট পসরে পায়ের জাদুদে আত্মবিশ্বাসের ফুলঝুড়ি উড়িয়ে চলে রাব্বী।
দুপায়ে ফুটবলটি অবিরত শূন্যে ভাসিয়ে আবার কখোনও মাথায়,বুকে,পিঠে বল আটকে রেখে ফুটবল যাদুতে চোখ আটকে রাখে দর্শকদের। ক্ষুদে এই ফুটবলারের এখন শুধু একটি সুযোগের অপেক্ষা। লক্ষ্য জাতীয় দলের হয়ে খেলা, আর নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে গোল জালে রাব্বির স্বপ্ন ভাসে।
পল্লী গাঁয়ের বিভিন্ন পাড়ার মাঠে কখনো বৃষ্টিতে ভিজে আবার কখনো রৌদ্রের খরতাপে রাব্বি খেলে চলতেন ফুটবল। বাবার কড়াশাসন ও মায়ের কড়া নজরদারির মধ্যেও দাদা হাসান আলীর সহযোগিতায় রাব্বি সুযোগ পেলেই চলে যেতেন পদ্মার বালি চড়ে।
নিজের এলাকা ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ফুটবল প্রতিযোগিতা খেলায় ভিন্ন ভিন্ন টিমে খেলেছেন রাব্বি। ডজন খানেকেরও বেশী প্রতিযোগীতা পূর্ণ খেলায় ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি। এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩ টি গোল দেওয়ার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার। এছাড়াও তার অংশ নেয়া বেশিরভাগ খেলাতেই গোল দিতে সক্ষম হয়েছেন। টিমকে জিতিয়ে আনতে খেলায় তার পায়ের যাদু রয়েছে শীর্ষে।লেফট উইন স্ট্রাইকার রাব্বি পায়ের যাদুতে একদিন দেশ ও দেশের মানুষের জন্য সুনাম বয়ে আনবে বলে মনে করেন সহপাঠী ও প্রতিবেশীরা।
হাসিমপুর পাবলিক লাইব্রেরী ফুটবল একাদশে নিয়মিত খেলে থাকেন রাব্বি । এছাড়াও বর্তমানে কুষ্টিয়া ফুটবল একাডেমীর হয়ে বিভিন্ন স্থানে ফুটবল খেলায় অংশ নিয়ে থাকেন। তার কৃতিত্বে অংশ নিতে সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা জানালেন জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল বাকী বাদশা।
ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা নেইমারের এই ছায়া শিষ্য রাব্বি দিনরাত স্বপ্ন বোনে ফুটবল উন্মাদনায় দেশকে একদিন বিশ্বকাপ খেলায় অংশ গ্রহণের স্বপ্ন সারথি হবে। খেলবে নেইমার মেসিদের সাথে। তাই খুদে এই ফুটবল তারকার স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বাফুফের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।