গত দুই দিনে দুই দফায় কালবৈশাখী ঝড়ে রংপুরের পীরগাছা ও কাউনিয়া উপজেলার লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে শত শত বাড়িঘর । ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজার হাজার গাছপালা। খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ঝড়ে আম, ভুট্টা, গম, ধান, কলাসহ উঠতি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাতে প্রথম দফায় শুরু হয়েছিল এই ঝড়ের তাণ্ডব। মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয় দফায় আঘাত হানে কালবৈশাখী ঝড়, সঙ্গে ছিল শিলাবৃষ্টি। এতেই ক্ষতির মুখে পড়ে দুই উপজেলার শত শত পরিবার। উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছে।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক সুমন জানান, কালবৈশাখীতে উপজেলার পারুল, তাম্বুলপুর এবং ইটাকুমারী ইউনিয়নে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি। এছাড়া, তাম্বুলপুর, ছাওলা ও সদর ইউনিয়নের বাড়িঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এই ছয় উপজেলায় দেড় হাজারেও বেশি বাড়িঘর দুমুড়ে মুচড়ে গেছে। মানুষজনকে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করতে হচ্ছে।
ইউএনও নাজমুল হক আরও জানান, বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। মানুষজন ভীষণ কষ্টে আছে। তাদের রাতে থাকতে হবে খোলা আকাশের নীচে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি বাড়িঘরের তালিকা করছি।