বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি’র ‘সাধারণ সম্পাদক’ পদ নিয়ে চিত্রনায়িকা নিপুণ ও ডেশিং হিরো জায়েদ খানের মধ্যে লড়াইটা শুরু হয়েছিল ২০২২ সালের জানুয়ারিতে। যা থেমে থেমে দমকা হাওয়ার মতোই বইছে এই ইন্ডাস্ট্রিতে। এখনো পদটি নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সুরাহা হয়নি। আদালতের চূড়ান্ত রায় না এলেও, এরই মধ্যে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন নিপুণ।
এদিকে, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে জায়েদ খানের সদস্যপদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত রবিবার বি্কেলে আনুষ্ঠানিক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্তটি জানিয়েছেন সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা সাইমন সাদিক।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করায় জায়েদ খানের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাইমন। তবে এই স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্ত এখনই চূড়ান্ত নয় বলেও জানিয়েছেন এই অভিনেতা।
এদিকে, গত রোববার সকালে নিপুণ আক্তারকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন জায়েদ খান। সেই চিঠিতে নিপুণকে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করেছেন তিনি।
চিঠিতে জায়েদ খান আরও জানিয়েছেন, তিনি পেশাগত কাজে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশের বাইরে গিয়েছিলেন। ফিরেছেন গত ৬ মার্চ। কিন্তু এর ফাঁকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি তার ঠিকানায় ‘অবৈধ’ একটি নোটিশ পাঠানো হয়। যা আরও অনেক পরে, ৩১ মার্চ হাতে পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন এ অভিনেতা।
অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, সংগঠনের উদ্দেশ্যাবলীর পরিপন্থী, স্বার্থের বিরুদ্ধে বা অবমাননাকর কোনো কার্যের সঙ্গে আমি কখনো সম্পৃক্ত ছিলাম না বিধায় তথাকথিত ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখের কারণ দর্শানোর নোটিশটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং বেআইনি।
তাছাড়া, চিঠির শেষ অংশে নিপুণকে ‘বিতর্কিত, অবৈধ, মানহানিকর ও আদালত অবমাননাকর’ কোনো কার্যক্রম না করার কথা উল্লেখ করেছেন জায়েদ খান। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।