ঈদের পরদিনও রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলার মানুষ বাড়ি ফিরছে। কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরছে তারা। দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তে ঈদ শেষে কর্মমুখী মানুষের চাপও কিছুটা রয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এই নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ না থাকায় নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারছে মানুষ।
দুপুরে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ঘুরে দেখা যায়, পাটুরিয়াঘাট থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে ছেড়ে আসা একাধিক লঞ্চে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। পাটুরিয়া থেকে প্রতিটি লঞ্চ কানায় কানায় যাত্রী পূর্ণ করে দৌলতদিয়ায় এসে ভিড়ছে। যাত্রীরা বাড়ি ফিরছেন।
তবে ফেরিঘাটে ঢাকাগামী যানবাহনের কোনো সারি নেই। পন্টুনে যানবাহন ও যাত্রীদের জন্য ফেরিগুলো অপেক্ষা করে ছেড়ে যাচ্ছে।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে এই নৌরুটে যাত্রীর চাপ কমেছে। এবার ঈদের আগে ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীরা ঘরে ফিরেছেন। আবার ঈদের পরদিনও ঘরে ফেরা মানুষের চাপ রয়েছে। তবে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ এখনো শুরু হয়নি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) দৌলতদিয়া ঘাট প্রান্তের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আফতাব হোসেন বলেন, এখনো ঢাকামুখী যাত্রীর থেকে ঢাকা ফেরত যাত্রীর সংখ্যা বেশি। আগামীকাল থেকে অফিস-আদালত খুলবে। বিকেলের পরে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ বাড়বে। বর্তমানে এই নৌরুটে ১৬টি লঞ্চ চলাচল করছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ এখনো শুরু হয়নি। তবে বিকেলের পর থেকে চাপ বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বহরে ২০টি ফেরি রয়েছে। তবে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ না থাকায় বর্তমানে ১২টি ফেরি চলাচল করছে। চাপ বাড়লে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে।