রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪

ছাগলে গাছ খাওয়া নিয়ে ২ পরিবারের সংঘর্ষে একজন নিহত

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ছাগলে গাছ খাওয়া নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত এবং আট জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানান, চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী।

নিহতের নাম কুলসুমা বেগম (৪০)। তিনি চকরিয়ার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী এলাকার নুর মোহাম্মদের স্ত্রী।

এ ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে আট জন আহত হওয়ার তথ্য দিলেও তাৎক্ষণিক তাদের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি ওসি।

স্থানীয়দের বরাতে ওসি চন্দন বলেন, ‘চকরিয়ার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের পাহাড়তলী এলাকার বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ ও মো. জকরিয়া পরস্পর প্রতিবেশী। শুক্রবার বিকালে জকরিয়ার একটি ছাগল নুর মোহাম্মদের মালিকাধীন ক্ষেতের বেশ কিছু বাদামগাছ খেয়ে ফেলে। এ নিয়ে দুই পরিবাবের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে এক নারী নিহত এবং কমপক্ষে আট জন আহত হয়েছে।’

ওসি জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছে। সেখান থেকে ফিরলেই বিস্তারিত জানানো হবে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বলেন, ‘বিকালে জকরিয়ার পালন করা একটি ছাগল নুর মোহাম্মদের ক্ষেতের বেশ কিছু বাদামগাছ খেয়ে ফেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নুর মোহাম্মদের স্ত্রী কুলসুমা বেগম ছাগলটি বেঁধে রাখেন। পরে জকরিয়ার স্ত্রী ছাগলটি ফেরত চাইলেও দেননি। এ নিয়ে সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে সালিশের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসা করেন। পরে ছাগলটি ফেরত দেওয়া হয়।

‘সালিশের পর উভয়পক্ষের লোকজন নিজেদের বাড়িতে ফিরে যায়। পরে ঘটনার জেরে কুলসুমার সঙ্গে জকরিয়ার স্ত্রীর তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে দুই পরিবারের সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটার আঘাতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে নয় জন আহত হন।’

এই ইউপি সদস্য আরও বলেন, ‘ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত পাঁচ জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠান। স্বজনরা জানিয়েছেন, চমেকে নেওয়ার পথে কুলসুমা বেগমের মৃত্যু হয়েছে।’

নিহতের লাশ চকরিয়া পৌঁছার পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি।

সর্বশেষ